তুমি চাইলে যেতে পারো
আমার সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন? আপনি আমার সম্পর্কে সবকিছু জানেন তো?
স্যার আমি আপনার সম্পর্কে সব জানি আর সব শুনেছি। আপনি এর আগেও একটা বিয়ে করে ছিলেন কিন্তু আপনার সেই বউ আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে চলে গেছে। যদি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হন। তাহলে আমি আমার মেয়ে সিমিকে আপনার কাছে বিয়ে দিবো।
আপনি আমার এখানে চাকরি করেন মাত্র তিন মাস হয়ছে। আর এর মধ্যে আপনি আমার সম্পর্কে সবকিছু জেনে গেছেন?
হ্যা স্যার সবকিছু জানি। ঘটক ফ*ট*ক দিয়ে আজকাল ভালো মেয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনি তো বিয়ে করবেন আর আমিও আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো।
দেখুন জহির সাহেব আপনি এখনও আমার সম্পর্কে সবটা জানেন না। প্লিজ আপনি এখন যেতে পারেন।
প্লিজ স্যার আমি অনেক বড় আশা নিয়ে আপনার রুমে এসেছি। আপনি আমাকে এমন ভাবে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না।
দেখুন আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমার সম্পর্কে আপনি আরও অনেক কিছুই জানেন না। সেই গুলি জানলে আপনি শুধু আপনার মেয়েকে নয় অন্য কোনো মেয়েকেই আমার কাছে বিয়ে দিতে বারণ করবেন।
স্যার আমার আর কোনো কিছু জানার দরকার নেই। আপনি প্লিজ আমার মেয়েটাকে বিয়ে করেন।
দেখুন জহির সাহেব আপনি রাজি থাকলে হবে না। আপনার মেয়েরও আমাকে বিয়ে করার জন্য সম্মতি থাকতে হবে।
স্যার আমি আমার মেয়েকে যা বলবো তাই করবে। এখন আপনি বলেন আমার মেয়েকে বিয়ে করবেন কি*না? আল নিষেধ করে দিতে ছিলো তখনি ওর মোবাইলে একটা ফোন আসে। রিসিভ করে শুধু হ্যা আর ওকে ডান বলেছে। আল ফোনটা কেটে কিছুটা নিরবতা পালন করে বলে। আচ্ছা জহির সাহেব আপনি সত্যি সত্যি আপনার মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিবেন?
হ্যা স্যার সত্যি সত্যি বিয়ে দিবো।
ঠিক আছে তাহলে আজকেই বিয়ে করবো।
স্যার আজকেই বিয়ে করবেন?
হ্যা আজকেই! আপনি যেহেতু এত করে বলছেন সেহেতু আজকেই বিয়ে করবো। আমি আপনার মোবাইলে মেসেজ করে একটা জায়গার লোকেশন দিয়েছি। আপনি আপনার মেয়েকে ফোন করে বলে দিন সেই জায়গাতে চলে আসতে।
স্যার বেশী তাড়াহুরা হয়ে যাচ্ছে না?
দেখুন জহির সাহেব আপনি নিজেই প্রস্থাব দিয়েছেন তাহলে এখন এত প্রশ্ন কিসের? আমি যা বলেছি তাই করুন।
কিন্তু স্যার আপনার বাবা মা ভাই বোন ওনাদের সবাইকে তো খবর দিবেন।
বিয়েটা করবো আমি তাহলে বাবা মা ভাই বোন ওদের দিয়ে আপনি কি করবেন? আর তাছাড়া আপনি যা চাচ্ছেন তা তো হচ্ছে। আপনি যত তাঁড়াতাড়ি আপনার মেয়েকে নিয়ে আসবেন তত তাঁড়াতাড়ি বিয়েটা হবে। আর আপনার স্বপ্ন পূরুণ হবে। জহির সাহেব আর কোনো কথা বলেনি। ওনি বেড়িয়ে ওনার মেয়ে সিমিকে ফোন করেছে। সিমি ফোন রিসিভ করতেই বলে।
জহির সাহেব:- মা আমি তোমার মোবাইলে মেসেজ করে একটা লোকেশন দিয়েছি। তুমি যত দ্রুত পারো সেখানে চলে আসো।
সিমি:- বাবা কোনো সমস্যা হয়ছে?
জহির সাহেব:- নাহ কোনো সমস্যা নেই তোমাকে আসতে বলছি তাই যত দ্রুত সম্ভব চলে আসো। আর কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়নি ফোনটা কেটে দিয়েছে জহির সাহেব। ঐদিকে সিমি টিউশন শেষ করে বাড়ীর দিকে যাচ্ছিলো। সিমি কোনো কিছু চিন্তা না করে একটা সি*এন*জি ঠিক করে উঠে পড়ে। আর এদিকে আল তার বন্ধুদের ফোন করে সবকিছু রেডি রাখতে বলে। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে আল জহির সাহেব জায়গা মত পৌঁছে গেছে।
আল:- জহির সাহেব আপনার মেয়ে তো এখনও আসেনি?
জহির সাহেব:- স্যার আমি ফোন করে দেখছি। সিমিকে ফোন করার জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়েছে তখনি সিমি সি*এন*জি থেকে নেমেছে। স্যার আমার মেয়ে চলে আসছে ঐ দেখা যাচ্ছে। আল সিমির দিকে না তাকিয়ে বলে।
আল:- আমি ভেতরে যাচ্ছি আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে ভেতরে আসুন কথাটা বলে আল চলে গেছে। জহির সাহেব ওনার মেয়ে সিমিকে নিয়ে ভেতরে গেছে।
সিমি:- বাবা এখানে কেনো নিয়ে আসলে? তখনি জহির সাহেব সিমির হাত ধরে বলে।
জহির সাহেব:- মা সিমি তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস। সিমি কিছুই বুঝতে পারছে না। কেনো আজ হঠাৎ করে ওর বাবা ক্ষমা চাচ্ছে। তাহলে কি বাবা আমার সাথে যা অন্যায় করেছে তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছে! সত্যি বলতে সিমি মনে মনে যা ভাবছে তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছে না? তখন একজন এসে বলে।
আপনাদের দুজনকে স্যার ডাকছে আসুন আমার সাথে। সিমিকে সাথে নিয়ে যাচ্ছে তখনি সিমি তার বাবাকে বলে।
সিমি:- আচ্ছা বাবা আমরা এখানে কেনো এসেছি?
জহির সাহেব:- এখানে আজ তোর বিয়ে হবে। জহির সাহেবের কথা শুনে সিমি অবাক হয়ে যায়।
সিমি:- মানে কি বলছো তুমি? আমার বিয়ে আর আমি জানি না! বাবা এমন কি হয়ছে হঠাৎ করে আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছো? বাবা আমি এই বিয়ে করতে পারবো না। তখনি জহির সাহেব সিমির হাত ধরে বলে।
জহির সাহেব:- মা তুই এমন কথা বলিস না। আমি স্যারকে কথা দিয়েছি। স্যারের সাথে তোর বিয়েটা দিবো। প্লিজ মা তুই না করিস না। আমি তোর ভালোর জন্য এই বিয়েটা দিতে চাচ্ছি। তাও সিমি রাজি হচ্ছে না। তখন ওনি একটা কথা বলে সেই কথাটা শুনে সিমি রাজি হয়ে যায়। (কি এমন কথা বলে সেইটা পড়ে জানতে পারবেন) সিমি তো এখন বিয়ের জন্য রাজি হয়ছে তবে এখন পর্যন্ত ছেলেটাকেও দেখিনি। আদৌ ছেলেটা ভালো না খারাপ তা কিছুই জানে না। শুধু মাত্র বাবার ঐ কথাটার কারণে বিয়ে করতে রাজি হয়ছে। এমন সময় কাজী সাহেব বলে। বর আর কনে দুজনে আসুন। আল আর সিমি দুজনে সামনে গেছে। সিমি এই প্রথম আলকে দেখছে। আলের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আল একবারও সিমির দিকে তাকাইনি। কাজী সাহেব তাঁর কিছু কাজ করেছে। আর তখন ঐখানে উপস্থিত একজন মৌলভী সাহেব ছিলো ওনি ওদেরকে ইসলামিক নিয়মে বিয়েটা পড়িয়ে দেয়।
কাজী সাহেব:- নেন এখানে দুইজনে সাইন করে দিন। আল আর সিমি দুজনে সাইন করেছে। আজ থেকে আপনারা দুইজনে স্বামী স্ত্রী। আর মিষ্টার আল সাহেব আপনাদের বাকী কাগজপত্র গুলি দুই তিন দিনের মধ্যে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন? আল শুধু মাথাটা নাড়িয়ে হ্যা সূচক বলেছে। আলের বন্ধুরা আলকে জড়িয়ে ধরেছে। তখনি জহির সাহেব বলে।
জহির সাহেব:- স্যার আমার মেয়েটাকে আপনার হাতে তুলে দিলাম। আজ থেকে আপনি আমার মেয়েটার সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবেন। আল হ্যা না কিছুই বলেনি শুধু বলেছে।
আল:- আপনি যা চায়ছেন তা হয়ছে। এখন আমরা আঁশি বলেই আল সিমির হাতটা ধরেছে। আলের স্পর্শে সিমির মধ্যে কেমন একটা অনুভতি তৈরি হয়ছে। সিমিকে নিয়ে আল বাহিরে এসে একটা গাড়ীতে বসিয়ে দিয়েছে। সিমি কিছু বলবে তার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে হচ্ছে না। আলের ব্যবহার দেখে সিমি বুঝে গেছে ওর জীবনে আবারও অনেক বড় একটা ঝড় আসতেছে। তবে এই ঝড়টা যে আর অন্য সব ঝড়ের মত না। সিমিকে গাড়ীর পেছনের সিটে বসিয়ে আল সামনের সিটে বসে ড্রাইভিং করছে। কিছুটা পথ আসার পড়েই গাড়ীটা থামিয়ে আল বলে। তোমার নামটা জেনো কি?(সিমি মনে মনে বলে বাবা কতবার আমার নামটা ওনার সামনে বলছে তাও এখন আমাকে জিজ্ঞেস করছে মনে হয় স্মৃতি শক্তি কম আর নয় কানে কম শুনে) তখন আবার আল বলে তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি। তখন সিমি চেঁচিয়ে জোঁড়ে বলে।
সিমি:- আমার নাম সিমি রহমান। (সিমির চেঁচিয়ে বলার পরও আল কোনো রিয়াক্ট করেনি। সুন্দর ভাবে আস্তে করে বলে)
আল:- ও হ্যা নামটা শুনেছি তোমার বাবা বলে ছিলো। আচ্ছা তুমি নামো গাড়ী থেকে। (আলের এমন কথায় সিমি অবাক হয়ে গেছে। মনে মনে ভাবছে ওনি আমার উপর কোনো রাগ করেনি কেনো? যা খুশি তা করুক তাতে আমার কি?) তখন আল আবার বলে এই মেয়ে তোমাকে যে বলেছি গাড়ী থেকে নামতে তুমি শুনতে পাওনি?
সিমি:- গাড়ী থেকে এখানে কোথায় নামবো?
আল:- কেনো নিচে কি পানি যে নামলে তুমি ডুবে যাবে? নামতে বলেছি নামো। সিমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে গাড়ী থেকে নেমেছে তখনি একটা মেয়ে এসে বলে ম্যাডাম আসুন আমার সাথে।
সিমি:- আপনার সাথে আমি কোথায় যাবো? তখনি আল বলে।
আল:- সে তোমাকে যেতে বলছে তুমি যাও। তোমাকে বৌ সাজানোর জন্য বিউটি পার্লারের ভেতরে নিয়ে যাবে। সিমি আর কোনো কথা বলেনি মেয়েটির সাথে ভেতরে গেছে। আল বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় চল্লিশ মিনিট পড়ে সিমি এসেছে একদম বৌ সেজে। আল এবারও সিমিকে ভালো করে দেখেনি। শুধু বলেছে। গাড়ীতে বসো। সিমি পিছনের সিটে বসেছে। আল তাঁর মত করে ড্রাইভিং করছে। সিমি লুকিং গ্লাস দিয়ে আলের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আল একটা বারের জন্য সিমির দিকে তাকাইনি। কিছুক্ষণের মধ্যে আল তার বাড়ীতে এসেছে। দুজনে গাড়ী থেকে নেমেছে। আল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপ দিয়ে সিমিকে উদ্দেশ্য করে বলে। তোমাকে বাড়ীর ভেতরে কেও কিছু বললে কোনো কথার উত্তর দিবে না। তুমি একদম চুপচাপ থাকবে। কি বলেছি তুমি শুনতে পেয়েছো?
সিমি:- ঠিক আছে!(কি হচ্ছে সিমির সাথে সিমি কিছুই বুঝতেছিনা) তখনি একটা মেয়ে এসে দরজাটা খুলেছে। আলের সাথে সিমিকে বৌ সাজে দেখে মেয়েটা বলে উঠে। আবার একটা মেয়েকে বৌ করে নিয়ে এসেছে? আল মেয়েটির দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়েছে তখন মেয়েটি চলে যেতে যেতে জোঁড়ে বলে উঠে আল ভাইজান আবার একটা বৌ নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে আল সিমির হাতটা ধরেই বাড়ীর ভেতরে ঢুকেছে। তখনি আলের বাবা মা সহ পরিবারের সবাই নিচে এসেছে। আল সিঁড়ি দিয়ে উপরে যেতে ছিলো তখনি ওর বাবা বলে উঠে।
বাবা:- আল তুই আবার বিয়ে করেছিস?
মা:- এর আগেও আমাদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেছিস? বিনিময়ে কি হলো তোকে ডির্ভোস দিয়ে চলে গেছে। ঠিক এবারও আগের বিয়েটার মত করেছিস। আচ্ছা তুই আমাদের সাথে কেনো এমন করিস? আল একদম চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কোনো কথা বলছে না। আলের এমন নিরবতা দেখে সিমি অবাক হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক সবাই আলকে অনেক ধরনের কথা বলতেছে কিন্তু আল একদম চুপচাপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আলের যৌথপরিবার সবাই কানাগুসা করছে আবার আল বিয়ে করেছে! এখন দেখার বিষয় এই বৌটা কতদিন ওর সাথে সংসার করে? তখনি আল সিমিকে দেখিয়ে বলে।
আল:- ওর নাম সিমি রহমান আমার বৌ। আজ থেকে সিমি এই বাড়ীতে থাকবে। এখন সবার কি ড্রামা শেষ হয়ছে? যদি শেষ হয়ে থাকে তাহলে বলেন আমি রুমে যাবো। আলের এমন কথা শুনে আলের বাবা বলে।
বাবা:- আল তুই কাজটা একদম ঠিক করলি না। তোর জন্য আমরা কম অপমান সহ্য করিনি। বিয়ে করবি ভালো কথা অন্তত আমাদের বলতি আমরা তোকে সুন্দর ভাবে বিয়ে করিয়ে দিতাম।
আল:- বাবা আমি নিজের বিয়েটা নিজেই করেছি। যদি আপনাদের আমার বৌকে মেনে নিতে সমস্যা হয় তাহলে বলেন আমি ওকে নিয়ে বেড়িয়ে যাবো।
মা:- সবসময় নিজের কথাটা চিন্তা করিস! তোর যে একটা পরিবার আছে আর সেই পরিবারের মানুষজন আছে সেইটা তোর মনে থাকে না। যা করেছিস ভালো করেছিস।
আল:- মা এত কথা না বলে এখন বলেন আমি কি থাকবো নাকী ওকে নিয়ে বেড়িয়ে যাবো? তখনি আলের বাবা বলে।
বাবা:- বাড়ী তোর তুই যাবি কেনো? দরকার হলে আমরা সবাই চলে যাবো। যখন তোর টর্চার আর সহ্য করতে পারবো না। তখন আমরা সবাই চলে যাবো।
আল:- যা খুশি তা আপনারা করেন। এখন আমার ভালো লাগছে আমি উপরে গেলাম এই কথা বলে আল চলে গেছে। সিমি একা দাঁড়িয়ে আছে কি করবে বুঝতে পারছে না। তখনি আলের বাবা বলে।
বাবা:- এই মেয়ে তুমি যে আলকে বিয়ে করেছো ওর সম্পর্কে সবকিছু জেনে শুনে বিয়ে করেছো তো? সিমি কিছুই বলছে না। তখন আলের মা বলে।
মা:- নিশ্চয় সবকিছু জেনে বুঝে বিয়ে করেছে। আর যদি না জেনে বুঝে বিয়ে করে থাকে তাহলে নিজের সর্বনাশ নিজে করছে এতে আমাদের কি! তখন আলের বড় বোন মানে ঝিনুক বলে।
ঝিনুক:- আচ্ছা মা আল কেনো আবার বিয়েটা করেছে! ওর কি সত্যি বৌয়ের দরকার হয়? আমার তো মনে হয় না?
মা:- এখন বিয়ে করেছে দেখ কি করে! এই মালা ওকে আলের ঘরটাতে দিয়ে আয়।
ঝিনুক:- আলের ঘরে দিয়ে আসবে মানে? আলের ঘরের যে অবস্থা সেই ঘরে এই মেয়ে থাকবে কি করে?
মা:- সেইটা নিয়ে তোদের চিন্তা করতে হবে না। যে বিয়ে করেছে সে চিন্তা ভাবনা করে বিয়ে করেছে। আজিবব মেয়ে ছেলে সুন্দর দেখছে আর বিয়ে করে চলে আসছে। মালা দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা আলের ঘরে দিয়ে আয়।
মালা:- হ্যা মা যাচ্ছি। মালা মানে আলের ছোট বোন। ভাবি আসেন আমার সাথে। সিমিকে মালা উপরে নিয়ে গেছে। সিমি চুপচাপ হেটে যাচ্ছে। একটা বন্ধ দরজা দেখিয়ে মালা বলে। ভাবি এইটা আল ভাইয়ার ঘর। আজ থেকে আপনি এই ঘরে থাকবেন বলে মালা দরজাটা খুলে দিয়েছে। সিমি ঘরটার ভিতরে ঢুকে দেখে একদম ধূলাবালি দিয়ে একাকার। তখনি মালা বলে এই ঘরে আজ ছয় মাস পড়ে কেউ একজন থাকবে।
সিমি:- ছয় মাস পড়ে কেউ এই ঘরে থাকবে মানে! তোমার ভাইয়া এই ঘরে থাকে না? তখনি মালা বলে।
মালা:- ভাবি আপনি ভাইয়ার সম্পর্কে কিছুই জানেন না? সবকিছু না জেনেই বিয়ে করে ফেলছেন শুধু মাত্র ভাইয়ার সুন্দর চেহারা আর টাকা পয়সা দেখে? আপনার কপালে অনেক দুঃখ আছে।
সিমি:- আচ্ছা সবাই শুধু একটা কথা বলছো কিন্তু কেউ বলছো না তোমার ভাইয়া কেমন! কি তার অতীত? তখনি মালা বলে।
মালা:- বুঝতে পারছি আপনিও আগের ভাবির মত এই বাড়ীতে মাত্র অল্প কিছুদিনের অথীতি। আপনার সাথে যত কম কথা বলবো ততটাই ভালো হবে। রাতে ভাইয়া ঘরে আসবে বলে মনে হয় না। আপনি আপদত একা একা এই ঘরে রাতটা কাটিয়ে নেন সকালে দেখা হবে। কথাটা বলেই মালা চলে গেছে। আর সিমি তার মাথায় হাত দিয়ে নিচে বসে মনে মনে বলে। সত্যি কি আমার জীবনেও কোনো সুখ নেই! আমার সাথে কেনো এমনটা হয়ে থাকে? ঠিক তখনি কেউ একজন সিমির মাথায় হাত রেখেছে। সিমি তাকিয়েছে তখনি সে বলে ভয় পেওনা আমার জন্য তোমাকে এই বাড়ীতে এনেছে।